1. smwahidulislam49@gmail.com : S M Wahidul Islam : S M Wahidul Islam
  2. deshbidesherkhabor@gmail.com : deshbidesherkhabor : Desh Bidesher Khabor
  3. moniraakterwahid@gmail.com : Khushi Talukder : Khushi Talukder
  4. chyyahya9@gmail.com : yahya chowdhury : yahya chowdhury
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশঃ
আপনাকে "দেশ বিদেশের খবর" নিউজ পোর্টালে স্বাগতম। ডার্নাল শেফিল্ড যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি ও লেখক এম এ গফফার সম্পাদিত "দেশ বিদেশের খবর" অনলাইন পত্রিকার জন্য সারাদেশে ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগঃ ইউকে- +447871398375, বাংলাদেশঃ
সংবাদ শিরোনামঃ
মাতৃভূমি স্মৃতির আড়ালে মা গোয়াইনঘাটে বৃদ্ধ ফেরিয়ালাকে চোরাকারবারি সাজিয়ে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শতাধিক মানুষের মাঝে মখলিছুর রহমানের নিজ অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সাংবাদিকরা সরকারের উন্নয়নের পাশে থেকে শক্তি যোগায় : বিএমএসএস’র পিঠা উৎসবে নড়াইল পৌর মেয়র সিলেটে গণমানুষের দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন দিরাইয়ে কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শিক্ষানুরাগী কুটিমিয়া শাহ আদিল সংবর্ধিত দিরাই প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি সামছুল সম্পাদক লিটন সিলেটে অপপ্রচারকারী কথিত ৮ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফয়ছল কাদির এর মামলা দিরাই’য়ে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের শীতবস্ত্র বিতরণ সাংবাদিক কাইয়ূম এর চাচা ইনাতগঞ্জ বাজারের সাবেক সভাপতি মোঃ সিরাজ উদ্দিন এর ইন্তেকাল সায়েস্তাগঞ্জে সরকারী বই বিক্রি, প্রধান শিক্ষিকা আটক নড়াইলে ৩ সাংবাদিকের উপর হামলা ও মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রাণ গেল সুনামঞ্জের ঠাকুরভোগ গ্রামের তানিল আহমেদ Вулкан Ставка Онлайн Казино же Ставки На Спорт На Официальном Сайт

শরীফপুর স: প্রা: বিদ্যালয়য়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক ও শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ

  • আপডেট সময়: বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের “পশ্চিম শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের” ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে একটি মহলের অপপ্রচার ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের পৃথকভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দিরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক ও পশ্চিম শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক সেলিনা আক্তার।

পৃথক প্রতিবাদ লিপিতে উনারা বলেন গত ৬ আগস্ট, ২০২২ খ্রিঃ তারিখ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ও এ- দিরাইয়ে লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ সুনামগঞ্জের ডিপিও ও দিরাই শিক্ষা অফিসার রাজ্জাকের বিরুদ্ধে, এবং ১৪ আগস্ট, ২০২২ খ্রিঃ তারিখে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় “সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও দিরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিরুদ্ধে দুদকে ঘুষ-দূর্নীতি ও অর্থ কেলেংকারীর অভিযোগ দায়ের” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্পূর্ণ বানোয়াট, কল্পনা প্রসূত এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বাহিরে তৃতীয় পক্ষের অতি উৎসাহী ভূমিকা সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টের অপচেষ্টা, আমরা এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আজ ১৭ আগস্ট পৃথক এক প্রতিবাদ লিপিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক সেলিনা আক্তার বলেন- কথিত দাতা সদস্য উজ্জল চৌধুরীর উদৃতি দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উজ্জল চৌধুরীর উল্লেখ করেছেন বিদ্যালয়টি সরকারী করণের পর ঐ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের মদদে দুইটি পদে বহাল আছি যা মনগড়া অসত্য। উনার জবানবন্দি অনুযায়ী আব্দুর রাজ্জাক স্যার ২০২১সাল থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসাবে দিরাই উপজেলায় একছত্র আধিপত্ত বিস্তার করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবৎ অথচ জাতীয় করণের সময় আমাদের বঞ্চিত করার কারণে আমরা ৭ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ২০১৬ সালে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছি।
এতেই বুঝা যায় আমি ঘূষ দিয়ে নয় বরং ন্যায্য পদায়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে অফিশিয়াল সমাধান না পেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট রিট করেছি এবং এই সময় শিক্ষা অফিসার ছিলে আব্দুল হালিম ও ডিপিও ছিলেন পঞ্চানন বালা দাশ স্যার যাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা চলমান রয়েছে।

উজ্জল চৌধুরী বলেছেন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় রিট কারিজ করে দেন, সর্বেবৈ মিথ্যে ও অপপ্রচার। আমি ১৯৯৭ সাল থেকে অত্র বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে ২০১২ সাল পর্যন্ত যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করি এবং নিয়মানুযায়ী প্রধান শিক্ষকের পদের বিপরীতে মাসে ৫০ টাকা করে সরকারি কষাগারে জমা করি কিন্তু বিদ্যালয় জাতীয় করণের সময় অদৃশ্য কারণে আমাকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। আমি অনেক দৌড়াদৌড়ি করেও সমাধান না পেয়ে- মহামান্য হাইকোর্টের রীট পিটিশন নং ৩৮৯৫/২০১৬ দায়ের করি।

মহামান্য হাইকোর্ট ৩৮৯৫/২০১৬ নং রীট পিটিশন মামলার শুনানিতে যথাযত কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মোকদ্দমা দায়েরের নির্দেশনা দিয়ে রীট পিটিশনটি খারিজ করে দেন।
আমি প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন উজ্জ্বল চৌধুরীর পিতা আব্দুস শহীদ চৌধুরী যিনি স্কুলের ভূমি দাতা সেই ভূমি নিয়ে মামলা থাকায় আমি প্রধান শিক্ষক হিসাবে সুনামগঞ্জ আদালতে ২-৩ বার স্বাক্ষী দিয়েছি এছাড়াও ছাদিকুর রহমান চৌধুরী যখন সভাপতি ছিলেন তখনো আমিই প্রধান শিক্ষক ছিলাম যার বাপ-চাচার আমলে এবং দানকৃত ভূমির মামলায় প্রধান শিক্ষক ছিলাম তাহার মুখে আমি অযোগ্য ও প্রধান শিক্ষক না বিষয়টি বলা বড্ড বেমানান।

এছাড়া সংশোধিত পদায়নকৃত সদ্য সাবেক অবৈ প্রধান শিক্ষক বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষা অফিস বাদ দিয়ে কয়েক বছর আগেকার সভাপতির কাছে বিচার প্রার্থী হওয়া এবং সাবেক সভাপতি রায়হানা সিদ্দিকার পক্ষে দৌড়ঝাপ কিভাবে করেন এবং তা বিধি সম্মত কিভাবে হয় তা আপনারা উনাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন?
প্রসঙ্গতঃ কিছুদিন পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দুই শতাধিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তাদের পূর্ন দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন এর মধ্যে আমাদের সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারার শিক্ষকরা রয়েছেন, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে চলমান মামলা গুলো ক্রমান্বয়ে একই ফল ভোগ করবে ইনশা আল্লাহ।

আমরাও সংক্ষুদ্ধ হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করেছি, সেটা বর্তমানে প্রাসাশনিক ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। এছাড়াও আদালতের নির্দেশনা না মেনে আমাদের ভারপ্রাপ্তের জায়গায় চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক পদায়ণ করায় তৎকালীন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা ও আব্দুল আমিলের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননা মামলা দায়ের করলে উনারা আদালতে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। এছাড়াও বিধিমতে উপজেলা শিক্ষা বিষয়ক একাধিক বৈঠকেও চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষকদের শূন্য পদে বদলি করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পদায়নের রেজ্যুউলিশন পাশ করা হয়, এমনকি বিভাগীয় শিক্ষা কর্মাকর্তার কার্যালয় থেকে একাধিক বার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পদায়নে তাগাদা দিলেও অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

সহকারী শিক্ষকদের বক্তব্যঃ এব্যাপারে সহকারী শিক্ষক প্রীতি রাণীর সাথে আলাপ হলে উনি বলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমাদেরকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা ম্যাডামের খাতায় বিধি সম্মতভাবে স্বাক্ষর করতে বলেছেন উনি আমাদেরকে বাধ্য করেননি বা ভয়ভীতি দেখাননি বরং সাবেক সভাপতি সাদিকুর রহমান চৌধুরী বর্তমান কমিটিতে না থাকা সত্ত্বেও আমাকে ফোন করে সংশোধিত পদায়নকৃত কারণে মকসদপুরে বদলী রায়হানা সিদ্দিকার দায়িত্ব ভারপ্রাপ্ত হিসাবে চালিয়ে যেতে আমাকে বলেন! আমি উনাকে বলেছি আমি কিভাবে এই দায়িত্ব নেব আপনার কথায়? আমাদের উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার স্যার যেভাবে নির্দেশনা দিবেন আমরা সরকারী চাকুরীজীবী হিসাবে সেটা মেনে চলতে হবে এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, একথা বলার পরে সাদিকুর রহমান চৌধুরী ফোনের লাইন কেটে দেন, আমার প্রশ্ন উনি বর্তমান কমিটিতে নেই তারপরও কেন এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।

অপর সহকারী শিক্ষক ববিতা রাণী মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন- আমরা সেলিনা আক্তার ম্যাডামের সাথে নিয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি, ছাত্রছাত্রী বা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এই পর্যন্ত পাঠদানে কোন সমস্যা হয়নি। আর আগের প্রধান শিক্ষক (চ.দা.) সুনামগঞ্জ থেকে ক্লাস করায় স্কুলে আসতেই ১১ টা বেজে যেতো এতে করে সকল সাবজেক্ট ছাত্রছাত্রীদের উনার পড়ানো সম্ভব হতোনা। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আমাদেরকে কোন চাপ প্রয়োগ করে সেলিনা আক্তারের খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেননি আমরা বিধি মেনে নিজেরাই স্বাক্ষর করছি বরং আগের প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অভিযোগকারীর আত্মীয় হ্যাপী চৌধুরী ভোটার তালিকা হালনাগাতের দায়িত্বে জনিত কারণে স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও আমাকে মোবাইল ফোনে সেলিনা আক্তারের খাতায় স্বাক্ষর করতে বারণ করে অবৈধভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন!
শিক্ষার পরিবেশ ভালো আছে বর্তমান কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের দিকনির্দেশনায় আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
স্কুল কমিটির সভাপতি ও সহ-সভাপতির বক্তব্যঃ এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতি বশির আহমেদ ও সহ সভাপতি আফরোজ মিয়ার সাথে এ প্রতিনিধির আলাপকালে উনারা জানান আমাদের জানা মতে কেউ শিক্ষা অফিসার স্যার এর বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ করেননি আমরা দায়িত্বে থাকাসত্ত্বেও সাবেক সভাপতি সাহেবকে কেন রায়হানা সিদ্দিকা সব অভিযোগ দিচ্ছেন আর উনি তা শুনে দৌড়ঝাপ করছেন তা আমাদের বোঢগম্য নয়। বাস্তবে কোন অভিযোগ থাকলে তা বর্তমান দায়িত্বে থাকা আমাদের কমিটিকে আগে অবহিত করার কথা অথচ আমরা কিচ্ছু জানিনা, সাবেক একজন মুরব্বিকে নিয়ে বদলিকৃত শিক্ষক কেন স্কুলের পরিবেশ ঘোলাটে করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সহ-সভাপতি আফরোজ মিয়া তার বক্তব্যে বলেন- এখন শরীফপুর স্কুলে পড়া-লেখার সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে এই সুন্দর পরিবেশকে একটি কুচক্রি মহল বিনষ্ট করার জন্য নানাবিধ অপ-প্রচার চালাচ্ছে। আমাদের কমিটি থাকা স্বত্বেও বাহির থেকে অনেকে অপচেষ্টা করছেন, ওদের প্রতি সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
এ প্রতিনিধি সাদিকুর রহমান চৌধুরীর মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও উনি রিসিভ না করায় উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষক নেতার বক্তব্যঃ দিরাই উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দূর্নীতি মুক্ত সুন্দর পরিবেশ স্থাপন করার দাবীতে উজ্জল চৌধুরীর অভিযোগকারী প্রসঙ্গে দিরাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক নেতা অসীম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উনি এ প্রতিনিধিকে বলেন উজ্জল চৌধুরী কে এবং কিসের ভিত্তিতে গোটা উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন? উনি কি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেয়েছেন? কোথাও কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে স্বাভাবিকভাবে প্রথমে সংশ্লিষ্ট স্কুল কমিটিকে অবহিত করা, সেখানে প্রতিকার না ফেলে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার সেখানেও প্রতিকার না ফেলে বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ করতে পারেন কিন্তু উনি অন্য আরেকজন শিক্ষিকার জন্য অপ-প্রচার চালাতে সরাসরি মিডীয়া ও দুদককে বেচে নিলেন কেন? শিক্ষা অফিসার বা কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ নেই।

দিরাই শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক এর বক্তব্যঃ
দিরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা বদলিকৃত শিক্ষক ও উনার সাথে সাবেক সভাপতি এবং সভাপতির আত্মীয় উজ্জ্বল চৌধুরী তাদের অবৈধ আবদার রক্ষা না করায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার ও কথিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই।
দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, শরিফপুর নিবাসী সাদেকুর রহমান চৌধুরী ছায়াদ মিয়া আগে বলেছেন উনাকে আমার অফিসে ঢেকে নিয়ে সেলিনাকে প্রধান শিক্ষক করার জন্য যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা, উনি প্রধান শিক্ষক করার কে? এখন বলছেন উনি আমাকে ঘুষের টাকা দিয়েছেন? উনি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি দাবিদার হয়ে কিভাবে অবৈধভাবে আমাকে ঘুষ দিলেন-? আর আগের প্রতিবেদনে বললেন ঘুষ না দেওয়ায় রায়হানা সিদ্দিকাকে বদলি করা হয়েছে! অথচ এখন বলছেন ঘুষ দিয়েছেন তাহলে উনাদের কোন অভিযোগ সত্য-? আসলে উনারা অবৈধ প্রভাব খাটাতে না পেরে উল্টাপাল্টা কথা বলছেন ডিপিও স্যার সহ সবাইকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।
আমরা বিধি সম্মত একটা সংশোধিত পদায়ন করেছি যেখানে প্রধান শিক্ষক পদ খালি আছে। আর পশ্চিম শরীফপুরে আগে থেকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকায় এবং উনারা উচ্চ আদালতে বিচার প্রার্থী থাকায় এতদিন এক স্কুলে দুইজন প্রধান শিক্ষক ছিলেন যা আমাদের জন্য বিব্রতকর ছিল এখন সংশোধিত আদেশে তার সমাধানের চেষ্টা করেছি। আমরা উভয় সংকটে কোর্টের নির্দেশনা না মানলে আদালত অবমাননা, আর মানলে পাবলিকের সমালোচনা!
আমরা ঢালাওভাবে অভিযোগকারীদের মিথ্যা অপবাদ আর অপ- প্রচারের তীন্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ প্রচারের আগে আর সর্তক হয়ে তথ্য যাচাইবাচাই করে নিউজ করার জন্য অনুরোধ জানান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর বক্তব্যঃ এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অবিযোগকারীরা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এমন অভিযোগটি করেছেন যার কোন ভিত্তি নেই। যথাযত প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসলে সেটা আমরা দেখবো।
প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে দুদকের অবিযোগ করা হয়েছে তদন্ত আসুক আসলে পরে দেখা যাবে এই অভিযোগের সত্যতা কতটুকু তদন্তে প্রমানিত হবে।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 deshbidesherkhabor.com
Customized By Outsourcing Sylhet