রিপন দেঃ পরিবর্তন হতে পারে ত্রাণের ধরণ । সিলেটে বন্যা প্লাবিত এলাকায় পরবর্তী সময়ে সরকার, সরকারি-
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক সংগঠন, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রবাসী, ব্যক্তিসহ সকল পর্যায় থেকে যে অভূতপূর্ব ত্রাণ সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে তার জন্য সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। চিড়া, গুড়, চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, চিনি, রান্না করা খাবার সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, ওরাল স্যালাইন, ঔষধ, অর্থ সহায়তা ইত্যাদি ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যারা আগামীতে এমন সহায়তা করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য বাস্তবতা ভিত্তিক এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী সহায়তার দিক বিবেচনা করে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হলো।
১। মানুষকে অবকাঠামোগত সহায়তা দেওয়া যেতে পারে। যাদের ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের নির্মাণ সামগ্রী প্রদান করা যায়।
২। যে পরিবারের গবাদিপশু ছিলো কিন্তু মারা গিয়েছে তাদের গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী ইত্যাদি কিনে দেয়া যেতে পারে। এতে তাদের আয়ের পথ সুগম হবে একই সাথে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটবে।
৩। মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি গো খাদ্য/ পশু খাদ্য কিনে দেওয়া যেতে পারে। এ দিকটা প্রায়শই দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়।
৪। বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি ফলানোর জন্য বীজ দেওয়া যেতে পারে।
৫। যার একটি পুকুর আছে তাকে কিছু মাছের পোনা কিনে দেওয়া যায়।
৬। বৃদ্ধ, শিশু, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা,শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক দের জন্য আলাদা করে উদ্যোগ নেওয়া যায়। এই খাতগুলো জীবনমুখী ও উৎপাদনশীল। সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি আপনাদের অসামান্য এই প্রচেষ্টাগুলো একটি পরিবারের জীবনকে বদলে দিতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পূর্নগঠিত করতে সাহায্য করবে।।
Leave a Reply