এম এ গফফারঃ মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুক খুললেই গণমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে খুন রাহাজানি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্ঘটনায় খুন ও লাশের খবর দেখতে পাই!
আজ ফেসবুকে ডুকেই দেখি নিজ জন্মভূমি সুনামগঞ্জের আদাল সত্তরে শতশত আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী ও বিচার প্রার্থী মানুষের সামনে এবং আশেপাশে আদালত পুলিশের উপস্থিতিতে দুপুর বেলা একজন বিচার প্রার্থী বাদীকে প্রকাশ্যে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার খবর ও ভিডিও।
এ খুন আর হত্যার অবসান কবে হবে? একটি স্বাধীন দেশের ন্যায্য বিচারের বাণী কি শুধু নিরবে কাঁদবে? আজ আদালত সত্ত্বরেও একজন বিচার প্রার্থীর জীবনের নিরাপত্তা নেই! আমাদের মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলার অবনতির চিত্র ভাবতেও অবাক লাগে।
দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, থানা, গ্রাম-গঞ্জে অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি কারণে, ঘুষ-দুর্নীতির কারণে মামলা-মোখদ্দমা খুন-সন্ত্রাস চলছে।
দেশের বিভিন্ন ঘঠনায় প্রত্যেক্ষ স্বাক্ষী প্রমাণে ও সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত প্রমাণ থাকার পরেও অনেক খুনের আসামী বছরের পর বছর জেলেই বন্ধী রয়েছে।
অগনিত খুনী আসামীদের ফাঁসির রায় হওয়ার পরও নানান কারণে তাদের চুড়ান্ত ফাঁসির রায় কার্যকর করা হচ্ছেনা।
প্রতিদিন বিভিন্ন কারনে হত্যা হামলা-মামলা হচ্ছে তার তুলনায় উপযুক্ত ন্যায্য বিচার হচ্ছেনা।
দেশের জনসেবায়, জন নিরাপত্তায় বিশেষ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যথা সম্ভব খুনী ও গুরুতর অপরাধীদের চুড়ান্ত রায়ে যথাযথ সাঁজা ঘোষণা করে তা দ্রুত কার্যকর করা হত তাবে দেশের সঠিক আইনের শাসনের প্রতি জন সমাজের আত্মবিশ্বাস ও যথার্থ সম্মান থাকতো।
তাই সোনার বাংলাদেশের সম্মান রক্ষার্থে ১৮ কোটি জন সাধারণের জননিরাপত্তার স্বার্থে ন্যায্য বিচারের স্বার্থে ও পরিবেশকে কলঙ্ক মুক্ত করার স্বার্থে আইনের শাসনের উপর কারো শক্তি নাই এই শ্লোগানে শ্লোগানে সারা বাংলাদেশের খুনী, ধর্ষক সহ গুরতর অপরাধী ঘোষিত আসামীদেরকে গণনা কর কয়েক হাজার দোষী আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকর করে দেশের নৈতিক আইন শৃঙ্খলা সমাধানে একটি উন্নত সভ্য রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের জনসমাজ সুনাম ধন্যতা অর্জন করুক।
বাংলাদেশে আইনের সঠিক শাসন আছে বলে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের প্রতিফলন বাস্তবায়িত হোক। এই আশা প্রত্যাশা থাকলো বাংলাদেশ সরকারের প্রতি।
লেখকঃ এম এ গফফার- কবি ও সম্পাদকঃ দেশ বিদেশের খবর ডটকম। ডার্নাল, শেফিল্ড, ইংল্যান্ড প্রবাসী।
Leave a Reply