এম এ গফফারঃ ইংল্যান্ড প্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার পরিবারের ৫ জন সদস্য নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে গত ১২ জুলাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে দেশে আসেন এবং এক সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থান করেন।
গত ১৮ জুলাই সিলেট ওসমানী নগর উপজেলার তাজপুর স্কুল রোড এলাকায় চার তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের ২য় তলায় বাসা ভাড়া নেন। গত সোমবার রাতে খাবার শেষে প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সন্তানসহ ৫ জন একটি কক্ষে ঘুমান। রফিকুল ইসলামের শশুর আনফর আলী শাশুরী বদরুন্নেছা শ্যালক দেলোয়ার হোসেন এবং শ্যালকের স্ত্রী শোভা বেগম মেয়ে সাবিলা বেগম (৮) অন্যান্য কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার সকালে সুস্থ্য স্বজনরা রফিকুল ইসলামের রুমে ডাকাডাকি করে প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রী সন্তানরা দরজা না খোলায় ৯৯৯ নাম্বারে কল করেন। খবর পেয়ে ওসমানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রী হুছনারা বেগম ছেলে মাইকল ইসলাম সাদিকুর ইসলাম মেয়ে সামিরা ইসলামকে অচেতন অবস্থায় উদ্দার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠায় সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ও মাইকেল ইসলামকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক বাকি তিনজনকে নিবিড় সেবা পরিচর্যা কেন্দ্রে আইসিইউ তে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে দুজনের অবস্থার উন্নতি হলে একজন এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
তবে অতীব দুঃখের বিষয় ঘটনার ৬ দিন পরও মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন কূলকিনারা করতে পারেনি।
উপরোক্ত আলোচনা সমালোচনার মূল পরিপ্রেক্ষিতে সত্যের আলামত উদঘাটনে সঠিক সত্যতা অনুসন্ধানে যুক্তি ও মনোবিজ্ঞানের সত্য সন্ধানে এটাই প্রমাণ করে যে, একটি বাসায় একাধিক পরিবার একত্রে অবস্থান করার পর শুধু প্রবাসী পরিবারের সবাই অচেতন এবং দুইজন মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত রফিকুলের শ্বশুরের পরিবারের সবাই সুস্থ্য রয়েছেন। মৃত রফিকুল পরিবারের মৃত্যুর রহস্যের অনুসন্ধানে যুক্তি ও মনোবিজ্ঞানী তদন্তে সত্যের আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে যে রফিকুলের শাশুর পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ!
নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্যের সঠিক রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে ঘটনার প্রতেক্ষদর্শী ও রফিকুলের স্বজনদের ধারণা।
শেষান্তে প্রশাসনের প্রতি জনতার ও রফিকুলের স্বজনদের দাবি যথাযত তদন্ত করে মৃত্যুর রহস্যের সত্যতা উদঘাটন করা হোক।
লেখকঃ কবি ও সাংবাদিক, ডার্নাল, শেফিল্ড, ইংল্যান্ড প্রবাসী।
Leave a Reply