এম এ গফফার সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার নবগঠিত শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রমের সদা হাস্যোজ্জ্বল তরুন যুবক মোঃ তানিল আহমেদ,তার পিতার নাম মৃত গিয়াস উদ্দিন। তানিল ছাত্র জীবনে সুন্দর মনের সাথী হিসেবে ছিল অগণিত বন্ধু ও প্রাণের ক্লাসমিটখেলার সহপাঠী। পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের মধ্যে তানিল একজন ভালো ফুটবলার হিসাবে তার সুনাম ধন্যতা ও সুপরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছিল উক্ত বিভাগের ফুটবল প্রিয় জনসমাজের মাঝে।
বর্তমান প্রজন্মের স্মার্ট সুদর্শন গঠন আকৃতির নৈতিক ভদ্রতা নম্রতার জন্য এই তরুণ যুবকের ফেইসবুকে ছিলো সীমাহীন বন্ধু মুহল।
উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন কল্পনার লক্ষ্যে অবৈধ পথে দালালের প্ররোচনায় পাড়ি দিতে চেয়েছিল স্বপ্নপুরী গ্রীসে। জীবন যুদ্ধে হারিয়ে গেল তানিল।
জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে রেখ গেল ফেইসবুকে তার অগণিত স্মৃতিচিহৃ। তার প্রানবন্ত স্মৃতির ছায়ায় আজো ঠাকুরভোগ গ্রামটি নীরব স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে।
তার অকাল মৃত্যুতে প্রতারক অর্থলোভী দালাল চক্রকি দায়ী নয়? দুর্ঘনার সূত্রপাত বিগত ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ইংরেজি রোজ সোমবার। প্রচণ্ড কণকণে শীতল ঠাণ্ডা মৌসুমে বরফ ঢাকা পথে ইরান থেকে অবৈধ পথে তুর্কীর বরফ জমানো রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে একসময় তার শরীরের শিরা-উপশিরার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সাথে সাথে তানিল অসুস্থ হয়ে প্রচণ্ড বরফ স্তূপের মধ্যে পড়ে তার অকল্পনীয় মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। তার জীবনের দুর্ভাগযতায় কেড়ে নেয় তার জীবন্ত প্রাণ। সে হারিয়ে যায় লোকালয় থেকে লোকান্তর। জীবনের মায়া, প্রকৃতির মায়া, বন্ধু মহলের মায়া, স্বজনদের প্রাণের মায়া ছেড়ে সে চলে যায় স্বপ্নপুরী অজানা না ফিরার রহস্যময় দেশে। তার মরমী স্মৃতি বিজড়িত দৃশ্য ছবি দেখে আজো তার জন্ম দাতা মায়ের শোকাহত চোখের জল থামেনি। বর্তমান প্রযুক্তিগত জীবনে এই তরুণ নৌজোয়ান যুবক অল্প সময়ের গতিতেই তার চারিত্রিক সুনাম —-
# সুপরিচিত ছড়িয়ে পড়ে ছিল দেশ হতে দেশান্তরে।
প্রিয় তানিল এর মরমী স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালো বাসা জানিয়ে আবারো তার স্মৃতি স্মরণে বাস্তবতায় লিখতে হলো- প্রকৃতির বৈরী শীতল বরফ ঢাকা রাস্তা পাড়ি দেওয়াই ছিলো তানিম এর দুর্ভাগ্যের মরণ যাত্রার প্রকৃত কারণ।
আর অবৈধ পথে গ্রীস যাত্রী এই অনবিজ্ঞ তিনি মৃত্যুর জন্য তার অবিভাবক ও প্রতারক দালাল চক্র কি দায়ী নয়?
শেষান্তে দেশের প্রত্যকটি তরুণ যুবক বিদেশ গমন যাত্রী ভাইদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, – জীবনে প্রাণে বেচে থাকার নির্দেশে বলবো, —
টাকা সম্পদের চেয়ে জীবনের জীবন্ত মূল্য অনেকাংশে বেশি।
টাকার আয়ূ সম্পদের আয়ূ সীমাহীন, জীবনে প্রাণের আয়ূ অল্প।
হয়তো ৮০/৯০ বছর খোদা তায়ালায় বেচে থাকার সময় সীমা নির্ধারণ করে রেখেছেন।
তাই টাকার চেয়ে সুন্দর জীবনের ভবিষ্যৎ অনেক মূল্যবান।
বৈধভাবে আমেরিকা, কানাডা, লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে আসুন।
সুখী সুন্দর, পরিকল্পিত সুন্দর ভবিষ্যৎ উপভোগ করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
দেশ বিদেশের খবর (অনলাইন নিউজ পোর্টাল)।
শেফিল্ড ইংল্যান্ড,
১০ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ
Leave a Reply