সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ওয়েজখালীস্থ শিয়ালমারা বিলের ইজারাদার মো. আব্দুল আজিজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সকল খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টায় আব্দুল আজিজের স্বজনদের আয়োজনে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়নে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের স্ত্রী মোছাঃ খুশমালা বেগম। তিনি বলেন,শিয়ালমারা চরদিঘা ডুবাটি আব্দুল আজিজ ওয়েজখালী-ইসলামপুর জগজবিনপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি হিসেবে ২০ বছর ধরে ডুবাটি দেখাশুনা ও ফিসিং করে আসছিলেন। কিন্তু গত দুইবছর যাবত এই ডুবাটি সরকার থেকে লীজ নিয়ে ফিসিং করে আসলেও একই এলাকার রমিজ মিয়া,আফতার উদ্দিন,আজিদ মিয়া ও আব্দুল কদ্দুছ গংরা এই ডুবাটি আপোসে তাদের দিয়ে দিতে আব্দুল আজিজকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। কিন্ত তিনি ডুবাটি দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিপক্ষ রজিম মিয়া গংরা প্রায় সময়ই আব্দুল আজিজকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রুয়ারী নামাংঙ্কিত রজিম মিয়া গংরা রাত ৮টায় শিয়ালমারা বিলের ইজারাদার আব্দুল আজিজকে শিয়ালমারা হাওরের চরদিঘা ডুবার পশ্চিম পাড়ে নিয়ে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় নিহতের মেঝো ছেলে আবুল হাসনাত বাদি হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারী রমিজ মিয়াকে প্রধান আসামী করে এবং ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (যার মামলা নং-০৭/২৯)। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করলে থানা পুলিশের সামনে আসামীরা প্রকাশ্য দিরালোকে ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন। অবিলম্বে সকল খুনীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শান্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের নিকট দাবী জানান। উল্লেখ্য সম্প্রতি আব্দুল আজিজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী রমিজ মিয়া গংরা ২০১৪ সালে ওয়েজখালী গ্রামের জামে মসজিদে ঢুকে ওয়ারিশ আলী নামে আরো একজন নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং এই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন নিহত আব্দুল আজিজ । গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে ওয়ারিশ আলী হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহনের দিন ধার্য্য ছিল। আসামীগন ওয়ারিশ আলী হত্যা মামলায় আব্দুল আজিজকে স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন এতে আব্দুল আজিজ রাজি না হওয়াতে তাকে গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করা হয় বলেও তিনি লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের বড় ছেলে ওয়েছ আহমদ, মেঝ ছেলে ও মামলার বাদি আব্দুল হাসনাত,মেয়ে নাজমা বেগম,ছোট ছেলে ইয়াহিয়া ও নিহতের ফুফাতো আলী হায়দার প্রমুখ।
Leave a Reply