সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা বাজারে টাইলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকেশ চন্দ্র দাসের ২৭৭ দাগের ৪ শতক রেকর্ডিয় বাড়ি রকম(বর্তমানে বাজার) ভিট ভূমির এক শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দেয়াল নির্মাণ করছেন টাইলা গ্রামের মো. আব্দুর রজ্জাকের ছেলে সিলেট পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল মো. ফয়সল আহমদ ও তার লোকজন। ফয়সল জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের সময় সে বাড়িতে অবস্থান কালীন সময়ে গতকাল শনিবার(৫ মার্চ) টাইলা গ্রামের সালিশ ব্যাক্তিরা ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের নিয়ে দেয়াল নির্মানে আপত্তি জানানোর পরও সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাম্য সালিশের কথা প্রত্যাখান করে। এ ঘটনায় ভিটের সত্বাধিকারী টাইলা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকেশ চন্দ্র দাস ভূমিখেকো ফয়সল আহমদ কর্তৃক অবৈধভাবে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণে শান্তি শৃংখলা ভঙ্গের কারণে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শংঙ্কা প্রকাশ করেন। সুকেশ চন্দ্র দাস ঐ জায়গাতে শান্তি শৃংখলা বজার রাখার স্বার্থে রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে টাইলা গ্রামের মৃত শিকদার উল্ল্যাহ’র ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ূম,তার সহোদর মো. আব্দুর রজ্জাক,আব্দুর রজ্জাকের ছেলে ভূমিখেকো পুলিশ কনস্টেবল মো. ফয়সল আহমদ ও তার সহোদর সাজাদকে অভিযুক্ত করে ফৌজধারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় আমল গ্রহনকারী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মোকদ্দমা নং-১৪০/২২। ঐদিন সন্ধ্যায় মামলার নথিপত্র শান্তিগঞ্জ থানায় গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী তাৎক্ষনিক থানার এস আই অনুপম দেবনাথকে দায়িত্ব দেন। এদিকে পুলিশ কনস্টেবল মো. ফয়সল আহমদ রবিবার সকালে তার কর্মস্থল সিলেট পুলিশ লাইনে চলে গেলেও তার নির্দেশে তার আব্বা,চাচা এবং স্বজনরা আজ রবিবার সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে দেলাল নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন এমন তথ্যর ভিত্তিতে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই অনুপম দেবনাথ তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মো. ফয়সল আহমদকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও সে নির্দেশ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে শান্তি শৃংখলা ভঙ্গে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে জোরপূবৃক সংখ্যালঘুর জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আবাস মিলছে বলে স্থানীয় লোকজনের আশংঙ্কা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. ফয়সল আহমদের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,যেহেতু আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলার কোন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখা হবে।েআমি তাৎক্ষনিক আমার আব্বা এবং চাচাকে বলার পর কেন কাজ বন্ধ করছেন এখনই আবারো কাজ বন্ধ করার জন্য বলে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী টাইলা গ্রামের বাসিন্দা সুকেশ চন্দ্র দাস জানান,এই ভিটবাড়ির জায়গাটুকু অনুমান ৪৫ বছর আগে খরিদা সূত্রে আমরা জায়গার মালিক হই। কিন্তু পাশের বাড়ির পুলিশ কনস্টেবল মো. ফয়সল আহমদ গ্রাম সালিশ ব্যাক্তিদের বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে পেশীশক্তির জোরে রাতের আধাঁরে আমার এক শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দেয়াল নির্মাণ করছে। এ ঘটনায় আমি শান্তি শৃংখলা ভঙ্গের আশংঙ্কায় আজ (০৬ মার্চ) আদালতে একটি মামলা ও দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান কেউ আইনের উধের্ব নন। যেহেতু আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে কাজেই মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত এই জায়গাতে কোন ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয় গুরুত্ব দিয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরীকে নির্দেশ দেন বিষয়টি `দেখার জন্য।
Leave a Reply