সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ৯ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের। শিক্ষার্থীটি গোপালপুর গ্রামের রাম চরণ বিশ্বাসের মেয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আলফাজ উদ্দিন(৫০)। তিনি উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটাখালী আসামগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী ২ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,গত ২রা এপ্রিল স্কুল চলাকালীন সময় শিশু শিক্ষাথীর্টি ক্লাসে অবস্থানকালে ঐ শিক্ষক আলফাজ উদ্দিন মেয়েটির জামা ধরে টানাটানি শুরু করেন এবং তাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন অংশে টিপ দিয়ে উত্তেজিত করে শিশুটিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। শিশুটির চিৎকারে তার সহপাটি শিক্ষার্থী জড়ো হলে শিক্ষক স্কুল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক গোপালপুর গ্রাম ও আশপাশের গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে এর প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৪ এপ্রিল বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই ঘটনার আগে ও তার পূর্বেকার কর্মস্থল বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করাকালীন সময়ে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ও রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে নির্যাতিত শিশুটির পিতা কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই লম্পট শিক্ষক আলফাজ উদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান। এ ব্যাপারে শিশু নির্যাতনকারী গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আলফাজ উদ্দিনের(০১৭২৪৮৮৫৪১৩) এই নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিশ চন্দ্র বর্মণ জানান,একজন শিক্ষক দ্বারা প্রতিষ্ঠানের একটি অবুঝ শিশু শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই শিক্ষকরে বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান। এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার সাব ইন্সস্পেক্টর আব্দুর রহিম জানান গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কর্তৃক উক্ত বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে শ্লীলতহানির চেষ্টার কথা শুনেছেন বলে জানান।
Leave a Reply