সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কালনী নদীরে ঘেষে চাপতির হাওরে ১৫ নং.১৬,১৭ ও ৮২ নং পিআইসি কমিটিতে একই পরিবারের বিভিন্ন লোকের নামে বেনামে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মানে অনিয়ম দূর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে দিরাইয়ের চাপতির হাওরের কৃষকদের আয়োজনে সুনামগঞ্জ পৌর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্যে কৃষকরা বলেন, চাপতির হাওরে স্থানীয় সংসদ সদস্যর আর্শিবাদপুষ্ট দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ রায়ের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের পিআইসি কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত না করে সিন্ডিকেট করে মোটা অংকের কমিশন বাণিজ্যর মাধ্যমে জাহেদ চৌধুরীকে দিয়ে তিনি নিজে নামে বেনামে কয়েকটি পিআইসি কমিটি করে দেওয়া হয়। এই জাহেদ চৌধুরীর কারণে বাঁেধ অনিয়ম আর দূর্নীতির ফলে সম্প্রতি উপজেলার করিমপুর তাড়ল ও জগদল এই তিনটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষধিক কৃষকের একমাত্র জীবন জীবিকার অবলম্বন চাপতির হাওরের বাধঁ ভেঙ্গে ৪ হাজার হেক্টর বোরো জমির আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যায়। এই কালণী নদীতে যে পরিমান পানি হয়েছিলতাতে এই বাধঁ ভেঙ্গে যাওযার কোন আশংঙ্কাই ছিল না কিন্তু বাধেঁ মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে বাধঁ নিমার্ণের কারণেই কৃষকদের সোনালী ফসল ঘরে তোলা থেকে বি ত হয়েছে।
কৃষকদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নাম মাত্র বালু ফেলে দায় সেরেছে পিআইসির লোকজন। একই হাওরের ৪ টি বাঁধ বাঁধের কাজ কারে করেছেন একই ব্যক্তি। বাঁধ নির্মানে অনিয়ম দূর্নীতি করায় কালনী নদীতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকলে ভেঙে যায় চাপতির হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ। কৃষকদের সোনার ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। যারা বাঁধে অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
এসময় সংবাদসম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, নুরে আলম চৌধুরী,রায়হান মিয়া, নজির মিয়া, তহুর আলম, আতাউর রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply