ডেস্ক নিউজ ঃ-
বাংলাদেশের ২৫ টি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি এবং ২৫০ সাব এজেন্টকে দেয়া হয়েছে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের কাজ।
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে মানব সম্পদ রফতানির যে চুক্তি হয়েছে তার প্রেক্ষিতেই এই এজেন্ট এবং সাব এজেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র।
মালয়েশিয়ার দৈনিক মালয়েশিয়াকিনি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক গ্রহণ, নিয়োগ এবং প্রত্যাবাসনের জন্য এই ধরনের পরিকল্পনা করছে।
সংবাদপত্রটি জানায়, যে নথিটি তারা দেখেছেন, সেখানে ২৫ টি এজেন্সি এবং ২৫০ সাব এজেন্টকে বাংলাদেশে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নথি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া, আবেদন প্রক্রিয়া, শ্রমিক গ্রহনের প্রক্রিয়াগুলো ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যনেজমেন্ট সিস্টেম (এফডাব্লিউসিএমএস) এর অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। যেটি পরিচালনা করে বিতর্কিত কোম্পানি বেসটিনেট এসডিএন বিএইচডি।
নথিতে, `কোটা অটো এলোকেশন টু বিআরএ এন্ড এনগেজিং বিআরএ‘ শীর্ষক একটি অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রিক্রুটেড এজেন্সির সহায়তায় এফডাব্লিউসিএমএস ২৫ টি এজেন্সিকে মানবসম্পদ নিয়োগের দায়িত্বটি দিবে এবং তার অধীনে ২৫০ সাব এজেন্সি থাকবে। এই নথিতে আরো বলা হয়েছে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো থেকে সরাসরি শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন অথবা মালয়েশিয়াতেও এজেন্ট নিয়োগ দিতে পারবে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে ৫ বছরের জন্য চুক্তি সম্পন্ন হয়। এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি বন্ধ করা হয়। সেসময় দেশটিতে পাকাতান হারাপান সরকার ক্ষমতায় ছিলেন।
তবে চুক্তি সর্ম্পকে মালয়েশিয়ান মন্ত্রী বা বাংলাদেশের মন্ত্রী কিছুই বিস্তারিত জানাননি। শ্রমিকের কত টাকা খরচ হবে বা নিয়োগকর্তাকে কত টাকা প্রদান করতে হবে, তার নিশ্চিত খরচের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে আবারো এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দুর্নীতির আশ্রয় নিবে এবং অভিবাসনে ইচ্ছুকরা তার শিকার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ডিসেম্বরে চুক্তির আগের দিন পুত্রজায়ায় এক বৈঠকে বাংলাদেশি মন্ত্রী ইমরান তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি‘র (বায়রা) অনুরোধের কথাও প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে বায়রান ১ হাজার ৬০০ সদস্য এজেন্সিকে সমান সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।
এই ২৫ এজেন্ট নিয়োগ দেয়া এবং বেসটিনেটের তৎপরতায় আবারো সিন্ডিকেট হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা তেনেগানিতা। পূর্বেও এই সিন্ডিকেটের কারণে শ্রমিকদের খরচ বেড়েছিল এবং হয়রানির শিকার হয়েছিল বলে জানায় সংস্থাটি। এর আগে পাকাতান হারাপান সরকারের সময় ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরির কারণে তৎকালীন চুক্তিটি স্থগিত করা হয়।
(সুত্রঃ-বার্তা-২৪)
Leave a Reply