বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্ত্রকৌশলে স্নাতক সাইফুদ্দাহার শহীদ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেট ছিলেন। বেক্সিমকো কম্পিউটারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। এরপর ন্যাশনাল কম্পিউটারস নামে ঢাকায় নিজের প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই শহীদলিপি বাজারজাত করা হয়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। এরপর থেমে যায় শহীদলিপির যাত্রা।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের প্রথম সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি ছিলেন সাইফুদ্দাহার শহীদ। ১৯৭৯ সালের ২০ মে তার উদ্যোগে গঠিত হয় বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লিগ (বিএআরএল)। এই সংগঠনে তার সহকর্মী মুনিম হোসেন জানান, সাইফুদ্দাহার শহীদ বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও প্রচলনেরও প্রধান পথপ্রদর্শক। মূলত সাইফুদ্দাহার শহীদের উদ্যোগে ১৯৮২ সালে বিএআরএল আন্তর্জাতিক অ্যামেচার রেডিও ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভ করে। এরপর ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে উন্মুক্ত হয় অ্যামেচার রেডিও। সাইফুদ্দাহার শহীদ দেশের প্রথম অ্যামেচার রেডিও লাইসেন্সধারী (কল সাইন S21A)।
জানা যায় ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে অ্যাপল কম্পিউটার ম্যাকিন্টস কম্পিউটার বাজারজাত করার পর সাইফুদ্দাহার শহীদ লন্ডনে বসেই ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম এবং ম্যাক রাইট সফটওয়্যারের বাংলা অনুবাদ করেন ও একটি বাংলা ফন্ট তৈরি করেন। এই উদ্ভাবনকেই তিনি শহীদলিপি নামে বাজারজাত করেন। এই সফটওয়্যারটি প্রথমে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ব্যবহৃত হয়। এরপর শহীদলিপি বিভিন্ন সাময়িকী ও সংবাদপত্র প্রকাশনায়ও ব্যবহৃত হয়। যদিও শারীরিক অসুস্থতা ও বিদেশ চলে যাওয়ার কারণে শহীদলিপির আপডেট আর হয়নি।
Leave a Reply