চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের ১০ টাকার জন্য এক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করার প্রধান আসামি জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদকে (১৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়। দুপুরে তাকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ, শনিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের বৃত্তিপাড়ার একটি আম বাগানে বন্ধুরা মিলে খেলা করছিল ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন, জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদসহ বেশ কয়েক জন। এ সময় জাহিদ ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন।
পরে জাহিদ বাকি টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। এ সময় ইয়ামিনের বড়ভাই ইমন পালিয়ে এসে ঘটনা বাড়িতে জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পাশে আম বাগানে ইয়ামিনের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
পরে পুলিশে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ। সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন তারা।
সোমবার দুপুর ১২টায় দামুড়হুদা মডেল থানায় ইয়মিন হোসেনের মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে জাহিদ হাসানসহ ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে জাহিদকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, জাদিহকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
Leave a Reply