প্রথমে স্বল্পপরিসরে ফুল চাষ করে শুরুতেই সুফল মেলে। পরে পাঁচ বিঘা জমিতে ৫০ প্রজাতির ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেন গুপীনাথ।
সফল এই কৃষকের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের রণচন্ডি ইউনিয়নের বাফলা গ্রামে। তার বাগানে প্রতিদিন ফুলপ্রেমী শতাধিক দর্শনার্থী ভিড় জমান। নানা জাতের ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মন জুড়ায় তাদের । সেই সঙ্গে চলে ফুলের সঙ্গে সেলফি তোলাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির আনাচে-কানাচে থরে থরে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ লাগিয়েছেন গুপীনাথ। রজনীগন্ধা, অটিস্টিক, জারবারা, গোলাপ, গ্লোরিয়া, ক্যানডুলার মতো বিদেশি ফুল গাছ রয়েছে তার বাগানে।
এছাড়া গাটু বাঁশ, ট্রেটাজ, মন্দিও ঝাউ, চাইনিজ পাম্প, ললনী পাম্প, ময়ূর পঙ্খীরাজ, কার্পেট ঘাসসহ তার বাগানে রয়েছে অন্যন্য বিনোদন উপকরণ।
কৃষক গুপীনাথ জানান, অন্য ফসলের তুলনায় ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। সবমিলে পাঁচ বিঘা জমিতে বছরে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ছাড়াও পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ৫০ হাজার টাকার মতো ফুল বিক্রি হয়।
তিনি জানান, ফুল বিক্রি করে গত বছর প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হয়েছে তার। এ বছরও গাছে ভালো ফুল ধরেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, কৃষক গুপীনাথকে ফুল চাষে প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ উপজেলায় তিনিই প্রথম ফুল চাষ শুরু করেন। শুরুতে অনেকেই তাকে গালমন্দ করতেন। এতে তিনি নিরুৎসাহিত না হয়ে ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
Leave a Reply