ইসলামী বিপ্লবের ৪৩তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থিত ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
রোববার বাংলায় ডাবিং করা ইরানি চলচ্চিত্র বডিগার্ড দেখানোর মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে একটি করে ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
প্রথম দিনে দেখানো বডিগার্ড চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ইব্রাহিম হাতামি কিয়া।
রোববার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইরানের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মর্তুজা অতাশ জমজম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আব্দুস সবুর খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইরানি চলচ্চিত্র বিশ্লেষক ড. মো: মুমিত আল রশীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর থেকে ইরানের চলচ্চিত্র শিল্প বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতে দর্শক ও বোদ্ধাদের কাছে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ চলচ্চিত্র নির্মাতা যখন জৈবিক আকর্ষণকে তাদের বাণিজ্যিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অতি সহজে দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন, তখন ইরানের চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের পেশাগত দক্ষতা ও নান্দনিক শিল্পকর্মকে কাজে লাগিয়ে এবং সামাজিক, চারিত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধগকে ব্যবহার করে চলচ্চিত্র জগতে দর্শকের কাছে একটি ভিন্ন গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছেন। তাই তো বিশ্বব্যাপী আজ ইরানি চলচ্চিত্রের এমন জয়জয়কার।
বক্তারা আরো বলেন, শক্তিশালী চিত্রনাট্য, অসাধারণ ও অভূতপূর্ব অভিনয়, কলাকুশলির মনকাড়া আবেদন ছাড়াও বিশ্বমানের কারিগরি কৌশলের কারণে বিশ্বের সর্বত্র আজ ইরানি সিনেমা ব্যাপকভাবে দর্শক সমাদৃত হচ্ছে। সেইসাথে পুরস্কৃত হচ্ছে শীর্ষ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতেও। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত ও সম্মানজনক পুরস্কার অস্কার থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ঘরে তুলে নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি।
Leave a Reply