যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে আসা এক ছাত্রের বেপরোয়া ও অসৌজন্যমূলক আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ডরমেটরির শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে রাবির ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরির ওয়ার্ডেনকে প্রাণনাশের হুমকিরও অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তের আবাসিকতা বাতিল ও বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ডোমেন জোসেফ রাবির ফোকলোর বিভাগের পিএইচডি ফেলো। শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরির ৩০৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তিনি।
রাবির শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরির শিক্ষার্থীরা জানান, ডোমেন জোসেফ সবার সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছেন। মানসিক বিকারগ্রস্তদের মতো তার আচরণ। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে তিনি দ্বিধা করবেন না। তার বেপরোয়া আচরণে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কায় ভীত ডরমেটরির সব গবেষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গবেষক ডোমেন জোসেফ অন্য গবেষক তাপস কুমার রায়ের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। একপর্যায়ে মারমুখী আচরণ করেন তিনি। তাছাড়া তাপসের রুমের জিনিসপত্র তছনছ করেন।
ডোমেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ডরমেটরিতে অবস্থানের সময় সব গবেষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি। কোনো নিয়মের ধার ধারেন না ডোমেন। তার বেপরোয়া আচরণের প্রতিকার চেয়ে ১৪ জন গবেষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ডরমেটরির উপ-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ডোমেন। এরপর ডরমিটরির ওয়ার্ডেনের রুমে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি।
ওই ঘটনায় ডোমেনকে রাবি প্রক্টর দপ্তর থেকে তলব করা হয়। সেখানে তাকে সতর্ক করা হয়। এতেও তার কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং তার উগ্র আচরণ দিন দিন বাড়ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন শিক্ষার্থী ডোমেন যুগান্তরকে বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমনটা হয়েছিল। ভবিষ্যতে আর হবে না।’
এ বিষয়ে রাবির শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরির ওয়ার্ডেন প্রফেসর ড. আশাদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, গবেষক ডোমেন অন্য গবেষকদের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে; যা একজন গবেষকের থেকে অপ্রত্যাশিত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগও দিয়েছে।
রাবি ভিসি গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরিতে অবস্থান করা গবেষকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। প্রক্টরকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।
Leave a Reply