আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ: হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভা সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও হাওরাঞ্চলের সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রহ্মণবাড়িয়া ও কিশেরগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ২৭ মার্চ রোববার বিকেলে লতিফা কনফারেন্স সেন্টারে দুই পর্বের সভায় প্রথম অধিবেশনে সভাাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান। সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়ের সঞ্চালনায় সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা ও কাওসার চৌধুরী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা কমিটির উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, বিকাশ চন্দ্র চৌধুরী ভানু, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি স্বপন কুমার দাস রায়, সহ সভাপতি সুখেন্দু সেন, চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, ইবাদুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সম্মানীত সদস্য হোসাইন আহমদ তফসির, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য, সালেহিন চৌধুরী শুভ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক সবিতা চক্রবর্ত্তী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিসবাহ উদ্দিন, হাজী জালাল উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী মিজবাহুল বারী লিটন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান রিপন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নুর আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শাল্লা উপজেলা কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি দাস, কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ও সুব্রত দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নিহার রঞ্জন সরকার, সদস্য আলাল মিয়া, ধ্রুবজ্যোতি দাস গুপ্ত, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন এবারও হাওরের মাটি কলমে কাটছে। গত ২০ মার্চ কাবিটা বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভায় জানানো হয় জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁধের মাটির কাজ, ক্লোজার ও ঘাস লাগানো ৯৮.৯৯ শতাংশ শেষ হয়েছে। এর পর ২১ মার্চ শাল্লা উপজেলা এবং ২২ মার্চ দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় পাউবোর দাখিলকৃত প্রতিবেদন ভূয়া, ২২ মার্চ দোয়ারাবাজার উপজেলার ১ ও ৪৩ নং পিআইসিতে মাত্র মাটির কাজ শুরু হয়েছে। কোন বাঁধে ঘাস লাগানো হয়নি। শাল্লায় ও ক্লোজার অরক্ষিত,বালি দিয়ে বাঁধ নির্মান ও অধিকাংশ বাঁধের ঘাস লাগানোর আলামত দেখা যায়নি। তাই সভা থেকে পাউবোর ভূয়া রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে বর্ধিত সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ না করতে পারা এবং কাজ অনুযায়ী পিআইসিকে বিল পরিশোধ করতে না পারায় কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিকে দায়ী করা হয়। তারা বলেন এবার যদি হাওরের কোন ক্ষতি হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বক্তারা বলেন, গত রাতে জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। সুরমা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় ফসল নিয়ে চিন্তায় আছেন কৃষকরা। হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি স্বপন কুমার দাস রায়ের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহিন চৌধুরী শুভর স ালনায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Leave a Reply