লিবিয়া হয়ে ইউরোপের অভিবাসী প্রত্যাশায় মারা যাওয়া ৭ বাংলাদেশির মধ্যে আরও ৫ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানোর বিমানের চূড়ান্ত সময়সূচি প্রকাশ করেছে রোম বাংলাদেশ দূতাবাস।
১১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দূতাবাস থেকে এ তথ্য যুগান্তরকে জানানো হয়েছে। এর আগে ৭ বাংলাদেশির মধ্যে জয় তালুকদার ওরফে রতন ও কামরুল হাসান বাপ্পির মরদেহ তার্কিস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে রোমের লিওনার্দো ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে দেশে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে মো. ইমরান হাওলাদারের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সে ইমরান হাওলাদারের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে রোববার ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে কামরুল হাসান বাপ্পির মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। বাকি মরদেহগুলো পর্যায়ক্রমে দেশে আসতে থাকবে।
এ বিষয়ে রোম দূতাবাস জানায়, বিমানের চূড়ান্ত সময়সূচি তারা হাতে পাওয়ার পরপরই বাকি ৫ জনসহ মোট সাতজনের মরদেহ দেশে পাঠানোর সময়সূচি প্রকাশ করেন। এর ফলে স্বজনদের কাছে তাদের মরদেহ শিগগিরই পৌঁছে যাবে।
বিমানের সময়সূচি অনুযায়ী শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে মো. ইমারান হাওলাদারের মরদেহ ঢাকা পৌঁছায়। তার দেশের বাড়ি মাদারীপুর জেলা সদরে। এরপর একই জেলার জয় তালুকদারের মরদেহ গতকাল দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা যা দূতাবাসের সময়সূচিতে তা উল্লেখ রয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দুটি মরদেহ দেশে যাবে তার মধ্য একজনের নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তাকে বহন করা বিমানটি ঢাকায় দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছবে। সাইফুলের দেশের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলায়। অপরজনের নাম সাজাদ্দুর রহমান সজন তার মরদেহ যাবে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে, সজনের দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায়।
এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০ ফেব্রুয়ারি ২টা ৫৫ মিনিটে মো. জহিরুল মাতুব্বরের মরদেহ এবং পরের দিন ২১ তারিখ একই সময় সাফায়েত মোল্লার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছার মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারানো ৭ বাংলাদেশির মরদেহ ইতালি থেকে দেশে পৌঁছানো শেষ হবে। মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মধ্যে ৫ জনই মাদারীপুর জেলার। এসব বাংলাদেশি লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় মারা যান।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মানুষগুলো আর ফিরবেন না জানি; তবে রোম দূতাবাসের দীর্ঘ চেষ্টার ফলশ্রুতিতে মরদেহগুলো সরকারি খরচে অন্তত স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Leave a Reply