রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ দাবি করেছেন, তার দেশ ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছেন দেশটির জনগণকে ‘নির্যাতনের’ হাত থেকে রক্ষা করতেই। সেই সাথে তিনি বলেন, যদি ইউক্রেনীয় বাহিনী অস্ত্রসমর্পণ করে তবে কিয়েভের সাথে আলোচনায় রাজি মস্কো।
শুক্রবার মস্কোয় এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে ‘নিরস্ত্রীকরণ এবং নাজিমুক্তকরণের জন্য’ একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে দেশটির জনগণ নিজেদেরকে ‘নির্যাতন’ থেকে রক্ষা করতে পারেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারেন।
ল্যাভরভের মন্তব্যে এটাই প্রতীয়মাণ হয় যে, রাশিয়া অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনীয় বর্তমান কর্তৃপক্ষতে বিতাড়িত করতে চায়।
ল্যাভরভ বলেন, মস্কো কিয়েভের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে, যদি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে সমঝোতায় প্রস্তুত। ইউক্রেনীয় বাহিনী যত দ্রুত অস্ত্রসমর্পণ করবে তত দ্রুতই আমরা তাদের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি’, বলেন তিনি।ল্যাভরভ এটাও বলেন যে, ‘কেউ ইউক্রেন দখল করতে চায় না।’
আবাসিক এলাকায় হামলায় ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকভিত্তিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের কোনো স্থাপনায় রাশিয়ান বাহিনীর হামলার কথা অস্বীকার করেন ল্যাভরভ।
এদিকে, ইউক্রেন সেনাবাহিনী শুক্রবার জানিয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিক দিয়ে তাদের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে।
এর আগে পুতিনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।
ঘোষণার পর থেকেই ইউক্রেনের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে শুরু করে দেয় রুশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের যুদ্ধেই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর খারকিভ এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চেরনোবিলের দখল নেয় রুশ বাহিনী। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে পুতিন বাহিনী পৌঁছে যায় রাজধানী কিভের দোরগোরায়। যেখানে এখনো রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি।
এরপর শুক্রবার বিকেলেই প্রকাশ্যে আসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা।
যদিও এ ব্যাপারে ইউক্রেনের জবাব পাওয়া যায়নি এখনো।
হামলার প্রতিবাদস্বরূপ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার উপর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
সূত্র : আল আরাবিয়া, এএফপি
Leave a Reply