ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলাবা রাশিয়ার সাথে ভবিষ্যতে যেকোনো চুক্তির ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ ও জার্মানির পাশাপাশি তুরস্ককে আরেকটি জামিনদার দেশ হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আঙ্কারার শীর্ষ কূটনীতিক এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
ইউক্রেনের লভিভ নগরী পরিদর্শনকালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেন, ‘ইউক্রেন পি-৫ (জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ), তুরস্ক ও জার্মানিকে জামিনদার করে সামগ্রিক নিরাপত্তা চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে।’
বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করেছি যে রাশিয়ান ফেডারেশন এমন প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনো আপত্তি করেনি এবং তারা তা মেনে নিতে পারে।’
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ হচ্ছে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র।
চাভুসোগলু বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনে তার কূটনৈতিক তৎপরতার পর মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে এ সংঘাতের ব্যাপারে যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা অনেকটা ‘বৃদ্ধি’ পেয়েছে।
আঙ্কারা বা ইস্তাম্বুলে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনের তার প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করতে বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এরদোগান এ যুদ্ধের কবল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ‘মানবিক করিডোর খোলার প্রয়োজনীয়তা’ ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তুরস্ক তিন সপ্তাহের এ যুদ্ধে একটি মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আঙ্কারার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
গত সপ্তাহে তারা রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করে।
সূত্র : বাসস
Leave a Reply