ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন। লন্ডন নগরী খুবই ঘনবসতি কর্মমুখর জনসাধারণের জীবন ব্যবস্থা। লন্ডনে আন্ডারগ্রাউনের রহস্য ঘেরা মাটির নিচে গভীর সুরঙ্গ পথে ট্রেন চলাচলের সহজলভ্য ব্যাবস্থা রয়েছে। মাটির নিচে সুরঙ্গ পথে আন্ডার গ্রাউন্ড নামে ট্রেনে জনসাধারণ রাজধানীর বিভিন্ন টাউনে চলাচল করেন। এ সুরঙ্গ পথের রাস্তায় ট্রেনের নির্দিষ্ট স্টেশন রয়েছে। এ স্টেশনে জনসাধারণ গন্তব্য যাওয়ার পথে উটা নামা করেন। প্রতি ২ মিনিট,৩ মিনিট,৫ মিনিট পর পর ট্রেন স্টেশনে আসে । ট্রেনে ওঠা নামার সময় থাকে মাত্র ৩ মিনিট । এ ৩ মিনিটের ভিতরে অবশ্যই ওঠানামা করতে হবে। যদি কোনো কারণে বিলম্ব হয়ে যায় তবে অটোমেটিক ভাবে ট্রেনের দরজা লক হয়ে যাবে। পরবর্তীতে ট্রেন পুনরায় গন্তব্যে যাবার জন্যে উঠতে হবে। এ ট্রেন চলাচলের সময় কোনো ধরনের কোনো প্রকার যানযট থাকে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে বা কর্মস্তলে পৌঁছাতে কোনো অসুবিধা হয় না। এ ট্রেনের প্রযুক্তিগত যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই উন্নত ও সহজলভ্য। সুরঙ্গ পথের রাস্তায় গমনান্তে স্টেশনে নামার পর লিফটের মাধ্যমে উপরে উঠে। দিবালোকের আলোকিত সূর্য্য দেখতে হয়। সুরঙ্গ পথে চলাচলের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকে। এ রহস্যময় পথে ভ্রমণ না করলে রহস্যের সন্ধান জানতে পারবেন না।
সম্মানিত প্রিয় স্বদেশ ভূমির পাঠক পাঠিকা, ইংল্যাণ্ড ভ্রমণে আসুন , সুরঙ্গ পথের রহস্যময় দৃশ্য দেখে রহস্য উপভোগ করুন।
শেষান্তে সম্মানিত পাঠক পাঠিকাদের আগামী জীবন সুন্দর ব্যাবস্থায় শুভ কামনা করি। এ করোনা মহামারীতে সুরক্ষিত সুস্থ্য নিরাপদে থাকুন। বিঃদ্রঃ লেখকের প্রথম বই “মাতৃভূমি ও প্রবাসের স্মৃতিচারণ” গত ডিসেম্বর-২১ থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আপনার কপির জন্য যোগাযোগ করুন। +44 7871 398375
লেখকঃ কবি ও ভ্রমণ স্মৃতি প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ দেশ-বিদেশের খবর ডটকম, ডার্নাল শেফিল্ড, ইংল্যাণ্ড প্রবাসী। জন্মবাস- ঠাকুর ভোগ শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।
Leave a Reply